লোহিত সাগরে হুথিদের ঠেকাতে ১০-জাতি বাহিনী নামাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় আগ্রাসন ও হত্যার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েলমুখী জাহাজে সুযোগ পেলেই হামলা চালিয়ে বসছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। এতে বহুজাতিক তেল কোম্পানি বিপি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় সাগরে নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, ১০টি দেশের আন্তর্জাতিক বাহিনী সাগরে নামানো হবে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে বাণিজ্য রক্ষার জন্য একটি বহুজাতিক বাহিনী চালুর ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সোমবার বলেছেন, ১০-জাতি ‘বহুজাতিক নিরাপত্তা উদ্যোগে’ যোগদানকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সিসিলি ও বাহরাইন অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্র ওই আন্তর্জাতিক বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবে।

হুথি বাহিনীকে রাষ্ট্রহীন অভিহিত করে অস্টিন বলেন, যেসব দেশ সমুদ্রবাণিজ্যের স্বাধীনতার নীতিকে সমুন্নত রাখতে চায়, তাদের অবশ্যই ওই অরাষ্ট্রীয় ভিলেনদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একত্রিত হতে হবে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে ইসরায়েলমুখী যেকোনো বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। একটি জাহাজকে তারা অপহরণও করেছে।

গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ১৯ হাজার ৪০০জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সর্বশেষ সোমবার হুথিরা নরওয়ের মালিকানাধীন সোয়ান আটলান্টিক এবং পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি ক্লারায় ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছে।

হুথির হামলার মুখে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক তেল কোম্পানি বিপি, ইতালীয়-সুইস জায়ান্ট ভূমধ্যসাগরীয় শিপিং কোম্পানি, ফ্রান্সের সিএমএ সিজিএম এবং ডেনমার্কের এপি মোলার-মারস্ক সহ অন্তত ১২টি বহুজাতিক শিপিং কোম্পানি নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে লোহিত সাগর হয়ে চলাচল স্থগিত করেছে। বিপির ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ডেস্ট্রয়ার সাগরপথে হুথিদের মোট ১৫ ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে। তবে এবার ঘোষণা দিল বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের।

তবে ইরান সমর্থিত হুথিরা মার্কিন ঘোষিত বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। গোষ্ঠিটির মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-বুখাইতি সোমবার বলেন, লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যে কোনো জোটের মুখোমুখি হবে হুথিরা।