![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2023/03/resize.jpg)
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, শবে বরাত উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামাজ আছে কি না? বই-পুস্তিকায় শবে বরাতের বিশেষ নামাজ বলে বিভিন্ন রীতি-নিয়ম উল্লেখপূর্বক নির্ধারিত রাকাত নামাজ বিশেষ সূরা-দোয়া ও তাসবিহ দ্বারা আদায় করার নিয়ম লেখা আছে, যার কোনো ভিত্তি ইসলামি শরিয়তে নেই।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, শবে বরাতের জন্য বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামাজ নেই। সব সময় যেভাবে নামাজ পড়া হয়, সেভাবে নামাজ পড়বে। অর্থাৎ দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব হয় আদায় করবে এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়বে। এভাবে শবে বরাতে করা অন্যান্য আমলেরও বিশেষ কোনো পন্থা নেই।
কোরআনে কারিম তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-ইস্তেগফার ইত্যাদি নেক আমল যে পরিমাণ সম্ভব হয় আদায় করবে। তবে নফল নামাজ দীর্ঘ করা এবং সিজদায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করা উচিত, যা কোনো কোনো হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয়। বিভিন্ন বই-পুস্তকে নামাজের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে অর্থাৎ এত রাকাত হতে হবে, প্রতি রাকাতে এই এই সূরা এতবার পড়তে হবে- এগুলো ঠিক নয়। হাদিস শরিফে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই, এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা।
বলাবাহুল্য, কোনো বই-পুস্তিকায় কোনো কিছু লিখিত থাকলেই তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিজ্ঞ আলেমদের নিকট থেকে জেনে আমল করা উচিত। শবে বরাতের নফল আমলসমূহ বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকী করণীয়। ফরজ নামাজ তো অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার প্রমাণ হাদিস শরিফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। -ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম: ২/৬৩১-৬৪১
তবে কোনো ধরেনের আহ্বান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই যদি কিছু লোক মসজিদে এসে যায় তাহলে প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে মশগুল থাকবে, একে অন্যের আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হবে না।