বাংলাদেশের ৭০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা এখনো শ্রমিকদের মার্চ মাসের মজুরি দেয়নি। এখনো বোনাস দিতে পারেনি ২৫ শতাংশ কারখানা।
শিল্প পুলিশ এমন তথ্য দিলেও তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারদের সংগঠন বিজিএমইএর দাবি, প্রায় শতভাগ কারখানার মালিক বোনাস পরিশোধ করেছেন। মার্চের মজুরি দিতে পারেনি ৫৬ শতাংশ কারখানা।তবে ঈদের আগেই বাকি বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে।
শ্রমিক নেতারা বলেছেন, সাধারণত প্রতি মাসের ৭ তারিখ থেকে মজুরি দেওয়া শুরু হয়। এর মধ্যে বড় কারখানাগুলোতে কিছু বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। তবে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো শুরুই করতে পারেনি। এর মধ্যে বেশ কিছু হচ্ছে ঠিকা কারখানা। এসব কারখানায় শেষ সময়ে সংকট তৈরি হয়।
এদিকে বিজিএমইএ বলেছে, প্রতিবারের মতো এবারও কোনো রকম আশঙ্কা ছাড়াই বাড়ি যাবেন পোশাক খাতের শ্রমিকরা। সব কারাখানা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করবে।
মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ এর মধ্যে শুরু হয়েছে। শ্রম আইন অনুসারে প্রথম সাত কার্যদিবসের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে মালিকপক্ষকে।
পোশাক শিল্পের নেতারা বলছেন, সরকারিভাবে ১০ তারিখ থেকে ঈদের ছুটি শুরু। এটা মাথায় রেখে ছুটির আগেই তাঁরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বেশির ভাগ কারখানা এখনো মার্চের মজুরি দেয়নি। তবে বোনাস দিয়েছে ৭০ শতাংশ কারখানা। আজ সোমবারের মধ্যে বেশির ভাগ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। ’
শিল্প পুলিশের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগে ৪০০ পোশাক ও টেক্সটাইল কারখানা তাদের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যায় পড়তে পারে।