বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে এক মাদরাসার কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে সেখানকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র সে। গত ১০ নভেম্বর বান্দরবানের আদালতে ১৬৪ ধারায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ধীমান বড়ুয়া বলেন, গত সোমবার ওই ছাত্রকে তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে ক্লাস রুমে একান্তে কথা বলার সময় দপ্তরি দিদারুল আলম (৩০) দেখে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। দিদার সেই বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে ওই দিন বৈঠকে বসেন শিক্ষকেরা। পরদিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দিদার চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফজুর ছড়া নামক স্থানে খুন হন।
নিহত দিদারুল আলম নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা ফজুরছড়া এলাকার বাসিন্দা। নিহত দিদারের বাবা মোহাম্মদ ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করেন। পুলিশ গত বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে।
ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহজাহান জানান, ‘একটি মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় এবং এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হওয়ায় সে দিদার আলমকে হত্যা করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খানাকা মসজিদের পুকুরের পশ্চিম পাশের ধানখেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।’