সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে বিদেশী সেনাদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না

সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে বিদেশী সেনাদের উপস্থিতি মেনে না নেওয়ার কথা পুন:ব্যক্ত করলেন আলজেরিয়ার সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাঈদ শাংকরিহা

রবিবার এক সামরিক সম্মেলনে দেশটিতে যেকোনো ধরণের বিদেশী সেনাদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

শাংকরিহা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অজুহাতে উক্ত অঞ্চলে যেকোনো ধরণের বিদেশী সামরিক হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে আলজেরিয়া। কেননা এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রজেক্ট হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত।

সাহিল ও সাহারা অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রচেষ্টায় নতুনমাত্রা যোগ করতে চায় আলজেরিয়া। নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো নিয়ে জোট করেছে তারা।

সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সামরিক, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য আদা-প্রদান করার উদ্দেশ্যে মালি, নাইজার ও মাওরিতানিয়্যা সহ আরো কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে আঞ্চলিক জোটটি গঠন করা হয়েছে।

জোটের প্রধান শর্ত হলো, জোট রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ ভূখণ্ডে নিজেদের বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে। অন্য কোনো যৌথবাহিনী গঠন কিংবা বিদেশী সামরিক সহায়তা তলব করতে পারবে না।

বিদেশী সামরিক হস্তক্ষেপ পুন:প্রত্যাখ্যান করলেও কোন দেশ উক্ত অঞ্চলে তাদের সেনা সমাবেশ ঘটাতে চাচ্ছে এবিষয়ে মুখ খুলেননি আলজেরিয়ো সেনাপ্রধান।

২০১৩ সালে মালিতে সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে দখলদার ফ্রান্সের সামরিক হস্তক্ষেপের  কঠোর বিরোধিতা করেছিলো আলজেরিয়া।

পরবর্তীতে মালির স্বাধীনতাকামী মুজাহিদীনদের আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকায় ২০২২ সালে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় ফ্রান্স।