সরকার পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না :  মির্জা ফখরুল ইসলাম

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল এক সভায় বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দলীয় নেতা-কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা, এক দাবি- এই সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে দলের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ২০-দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন বিএনপি নেতারা। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভূতপূর্ব সমন্বয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা হয়েছিল। নতুন করে আবার গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। এখন আমাদের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আসুন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই লুটেরা সরকারের পতন করি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগেই ঢাকার আশপাশে মামলা হামলা হচ্ছে। এভাবে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা জনগণের সরকার চাই, লুটপাট শাসন চাই না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।

সকালে ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ দলের সিনিয়র নেতারা। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করছি। বিএনপির প্রায় ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে। তাদের মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২