মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া
মানুষ সভ্য হয়েছে, শিক্ষিত ও আধুনিক হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে জাত-পাতে বৈষম্য ও বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। আসলেই কি তাই? সভ্যতার দাবিদার আমেরিকায় মাত্র ৫০ বছর আগেও কৃষ্ণাঙ্গদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করতে হয়েছে। ছোট ছোট কৃষ্ণাঙ্গ বালক-বালিকা শ্বেতাঙ্গ বালক-বালিকার সঙ্গে ভাইবোনের মতো হাত মেলাবে— এটা ছিল তখন স্বপ্ন। পরিস্থিতি যে এখনও খুব বদলেছে, তা নয়।
এইতো কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনে একজন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার পর গুলিবর্ষণকারী ২৮ বছর বয়সী পুলিশ অফিসারকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হলেও তার বিচার প্রক্রিয়ায়ও বর্ণবাদী ভূমিকা উঠে এসেছে।
আধুনিকতার ধ্বজাধারী ব্রিটেন-ফ্রান্সের অবস্থাও খুব বেশি সুবিধাজনক নয়। আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশগুলো বর্ণবাদের নখর থাবায় সয়লাব হয়ে আছে। আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রগুলো থিওরিতেই কেবল বর্ণবাদবিরোধী; বাস্তবে সেই পূর্বের অন্ধকার রয়েই গেছে। ধর্মীয় শ্রেণিভেদ, সাদা-কালোতে প্রভেদ, ধনী-গরিবে ভেদাভেদ, বংশীয় ও জাতিগত বৈষম্য সেসব খ্রিষ্টানপ্রধান সমাজ থেকে হটানো যায়নি।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থাও শোচনীয়। সেখানে এক ধর্মের ভেতর কত শ্রেণিভেদ। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র— প্রধান চার বর্ণ। বর্ণহীন আছে দলিত সম্প্রদায়, যারা আবার অস্পৃশ্য অচ্ছুত। ভারতীয় সমাজে এই শ্রেণিভেদ খুবই প্রকট। উঁচু বর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে নিচু বর্ণের হিন্দুর কোনো সম্পর্ক কল্পনাই করা যায় না। এমনও শোনা গেছে, নিচু বর্ণের এক বরযাত্রায় বর কেন ঘোড়ায় চড়লো, এ অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এক বর্ণের প্রার্থনার স্থানে আরেক বর্ণের উপাসকরা যেতে পারে না। এক জাতের ভগবানকে আরেক জাতের হিন্দু পূজা করতে পারে না। বর্ণবাদের কত রকমফের। শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি— সর্বক্ষেত্রেই বৈষম্য। কতটা ঘৃণ্য বর্ণবাদ! এগুলো খুব স্বাভাবিক সেসব অঞ্চল ও সমাজে। বাংলাদেশের দলিত সমাজের অবস্থাও যে খুব ভালো— তা বলার অবকাশ নেই।
ব্যতিক্রম একমাত্র ইসলাম। ইসলাম একমাত্র ধর্ম— যা উঁচু-নিচু জাতে কোনো পার্থক্য করে না। একমাত্র ইসলামেই সাদা-কালোর কোনো ভেদাভেদ নেই। ইসলাম শুধু মুখেই এই থিওরি দেয় না, বরং মুসলিস সমাজে বাস্তবেও এর প্রয়োগ সদা দৃশ্যমান। মুসলমানদের মসজিদের দরজা সবার জন্য সবসময় খোলা— মসজিদ ছোট হোক বা বড়। একজন ব্যক্তি— চাই সে যেকোনো দেশের হোক, যেকোনো রঙের হোক, যেকোনো বংশের হোক, যেকোনো ভাষাভাষী হোক, শিক্ষা, সমাজ বা অর্থনৈতিকভাবে তার অবস্থান যেমনই হোক— মসজিদে সবার সঙ্গে সেও খোদার সামনে মাথা ঝুঁকানোর অধিকার পায়। এই ভাতৃত্ব ও সাম্যের মনোরম দৃশ্য প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা মক্কা-মদিনায় দৃশ্যমান।
আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে ঐতিহাসিক এক ঘোষণা প্রদান করেন—
‘হে লোকসকল! অবশ্যই তোমাদের প্রতিপালক এক এবং তোমাদের আদি পিতাও এক। আরবের ওপর অনারবের এবং অনারবের উপর আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সাদার উপর কালোর আর কালোর উপর সাদার কোন মর্যাদা নেই। তাকওয়াই শুধু পার্থক্য নির্ণয় করবে।’ [বাইহাকি/৫১৩৭]
মানুষের মর্যাদার মানদণ্ড নির্ধারণে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি এ ঘোষণা দ্বারা সব কৌলীন্য প্রথার বিলুপ্তি ঘটান। সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবতার কথা উচ্চকণ্ঠে বলে যান।
গায়ের রঙ যেমনই হোক— সব মানুষ সমান। মানুষের মর্যাদার একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে সৎকর্ম ও খোদাভীরুতা। নবীজির এই বাণীর মর্ম চিন্তা করলে ভক্তি ও শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে।
প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার প্রদান ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলাম মানুষকে প্রাপ্য অধিকার, সৌজন্য, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এবং বংশীয় কৌলীন্য, শ্রেণিবিভেদ, জাতিগত বিভেদ ও বর্ণবিভেদ হতে সতর্ক করেছে। দাস-দাসী ও অধীনস্থদের প্রতি সুন্দর ও ন্যায়ানুগ ব্যবহার করতে শিক্ষা দিয়েছে।
ইসলামে মানুষ হিসেবে সবাই সমান মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। মৌলিক অধিকার সবার সমান। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকারও সবার ক্ষেত্রে সমান। ব্যক্তিস্বাধীনতাও সবার ক্ষেত্রে সমান। মর্যাদার দিক দিয়ে ইসলামে ধনী-গরিব সবাই সমান। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারও সবার ক্ষেত্রে এক। জানমালের নিরাপত্তার অধিকারও এক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার ক্ষেত্রে এক।
জাহিলিয়াতের সে অন্ধকার যুগে নবীজি সা. এসেছিলেন মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে নতুন ধারণা নিয়ে। তিনি প্রচার করেছেন— মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইসলামই প্রথম স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। জাত-পাত, বংশীয় বিভেদ ও সামাজিক বৈষম্যকে নাকচ করেছে।
শুধু ইসলামই এমন এক ধর্ম— যা সমাজ-রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সাম্যের মূল্যবোধ জাগ্রত করেছে।। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে অবস্থা হলো— হজরত ইয়াকুব আ.-এর বংশধরদের মধ্যে বনু লাদির অধিকার ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি। ইসরায়েলিদের ভেতর কেবল বনি ইয়াহুদার লোকেরাই সরকারি উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হতে পারত। ইসলাম এসে এমনভাবে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়েছে যে, শতবর্ষ পর রুদ্ধ মানবতা মুক্ত পরিবেশে শ্বাস নিতে শুরু করেছে। ইসলাম সম্মান ও মর্যাদার মান হিসেবে নির্ধারণ করেছে তাকওয়াকে। কোরআনে এসেছে— إِنَّ اَكْرَمَكُمْ عند الله اتقاكُمْ ‘তোমাদের ভেতর সবচে সম্মানিত সে-ই ব্যক্তি, যে সর্বাধিক তাকওয়াবান।’ [সূরা হুজুরাত: ১৩]
বিশ্বে রং, বর্ণ, গোত্র ও ভাষার ভিত্তিতে বহু জাতীয়তার সৃষ্টি হয়েছে। পবিত্র কুরআন এই জাতিগত বৈষম্যকে দূর করেছে এভাবে— الذى خلقكم من نفس واحدة ‘তিনি তোমাদের এক আত্মা থেকে সৃষ্টি করেছেন।’ [সূরা নিসা: ১]
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে— و بدأ خلق الانسان
من طين. ثم جعل نسله من سلالة من مآء مهين.
‘তিনি কাদামাটি থেকে মানবসৃষ্টির সূচনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।’ [সূরা সাজদাহ: ৭-৮]
পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টি ও সৃষ্টির উপাদান যেহেতু এক— মানুষে মানুষে পার্থক্য কী করে থাকতে পারে? অন্যান্য জীবের তুলনায় মানুষকে সবচে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন— لقد خلقنا الانسان فى احسن تقويم ‘নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ [সূরা তীন: ৪]
এই বিবেচনাতেও শুধু মানুষ হিসেবে একজনের ওপর আরেজনের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
রং, বর্ণ ও ভাষার ভিত্তিতে মানুষের মর্যাদা ও পার্থক্য হতেই পারে না। কারণ এতে মানুষের নিজ কর্মের কোনো দখল নেই। এ সবই আল্লাহর সৃষ্টি। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে— و من آياته خلق السموت والارض
واختلاف السنتكم.
‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে একটি হলো— আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের রং ও বর্ণের বৈচিত্র্য।’ [সূরা রুম: ২২]
আল্লাহ তায়ালা পারস্পরিক পরিচয়ের জন্য এই রং-বর্ণের বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন। এটা আল্লাহর সুনিপুণ সৃষ্টি। এসব নিয়ে মানুষের গর্ব করার কিছু নেই।
ইসলাম শুধু সাম্য ও সমতার থিওরিই দেয় না— সাম্যের বাস্তব উদাহরণে ইসলামি ইতিহাসের পাতা ভরপুর। ইসলাম দুনিয়ার সামনে সাম্যের অগণিত বাস্তব উদাহরণ রেখেছে। জাত-পাত, উঁচু-নিচুর বৈষম্য সবচে প্রকট হয়ে দেখা দেয় বিয়ের সময়। এখনও মানুষ বিয়ের সময় বংশীয় গৌরব ও আশরাফ-আতরাফের বিষয় খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কিন্তু ইসলামে বিয়ের জন্য শুধু দুজনের মুসলমান হওয়াই জরুরি। কুফুর বিষয়টা আলাদা, সেটাকে আমরা মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখতে পারি; কিন্তু উঁচু-জাত নিচু-জাত বংশীয় কৌলীন্যপ্রথার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামের প্রাথমিক যুগে অনেক উচ্চবংশীয় মেয়ের বিয়ে হয়েছে নিম্নবর্ণের ছেলের সঙ্গে। যায়েদ বিন হারেসা রা.-এর বিয়ে হয় নবীজির আপন ফুফাতো বোনের সঙ্গে— অথচ যায়েদ গোলাম ছিলেন; খাদিজা রা.-এর ভাতিজা হাকিম ইবনে হিজাম তাকে উকাজের বাজার থেকে ক্রয় করেছিলেন।
এই হযরত যায়েদের পুত্র হযরত উসামার বিয়ে হয় জয়নব বিনতে হানজালার সঙ্গে— যার উচ্চবংশ নিয়ে বিখ্যাত কবি ইমরাউল কায়েস তার কবিতায় প্রশংসা করেছেন। হযরত হুজাইফা রা. নিজ ভাতিজি হযরত ফাতিমা বিনতে ওয়ালিদকে ক্রয়কৃত গোলাম হযরত সালেমের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এটাকে দোষ বা লজ্জার কিছু মনে করেননি।
হযরত বেলালের ব্যাপার তো সকলেরই জানা। হাবশি ছিলেন, মোটা ও কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন, দেখতে অসুন্দর ছিলেন। ছিলেন দাস ও নিঃস্ব। একদিন তিনি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের এসব পরিচয় বর্ণনা করে ঘোষণা দিলেন যে— কে আমাকে কন্যাদান করবে? অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবার সৌভাগ্য মনে করে বেলালের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। মোটকথা, ইসলামে কেবল ইসলামেরই মূল্য আছে; বংশীয় গৌরব, উঁচুনিচু জাত বা আশরাফ-আতরাফের কোনো পার্থক্য বা মূল্য ইসলামে নেই। ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করার পর সকল মুসলিম সমান।
খলিফা হযরত উমর রা.-এর শাম সফরকালীন ঘটনা তো সর্বজনবিদিত। একটি উটে ইসলামি বিশ্বের খলিফা ও দাস পালাবদল করে আরোহণ করছিলেন। গন্তব্যের নিকটে যখন এলেন, তখন দাসের আরোহণ করার পালা ছিল। উমর রা. নিঃসঙ্কোচে দাসকে উঠিয়ে দিলেন উটের পিঠে। তিনি নিজে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছলেন। অনেকে ধারণা করল, উটের আরোহীই বোধহয় খলিফা উমর। এসব ঘটনা ছিল খুবই স্বাভাবিক। হযরত উমর সাম্যের এই অনুপম শিক্ষা কোত্থেকে পেলেন? পেয়েছেন বদর যুদ্ধে নবীজি সা.-এর সাম্য ও অসাধারণ সমবণ্টন দেখে। বদর যুদ্ধে উট ছিল স্বল্প, মুজাহিদ ছিলেন বেশি। নবীজি বলে দিলেন— একটি উটে পালাক্রমে তিনজন আরোহণ করবে। একসাথে দুইজন চড়বে, একজন পদযাত্রা করবে। নবীজির উটে অপর দুই সঙ্গী ছিলেন হযরত আলী ও হযরত আবুদ্দারদা রা.। যখন পালা আসত, অন্য দুজনের মতো নবীজিও পায়ে হেঁটে পথ চলতেন। অথচ তিনি দো-জাহানের বাদশাহ। এই হলো ইসলামের সাম্য।
হযরত উমর রা.-এর খেলাফতকালীন আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়। এক ইহুদি হযরত আলী রা.-এর ওপর নিজ বর্ম চুরির অভিযোগ আনল৷ হযরত উমর বললেন— হে আবুল হাসান, [হযরত আলীর উপাধি] বাদী বরাবার দাঁড়িয়ে নিজের সাফাই পেশ করুন। মনে হচ্ছিল, হযরত আলী এতে কিছুটা নাখোশ। মামলার নিষ্পত্তি হলো, ইহুদি মিথ্যা প্রমাণিত হলো। তখন হযরত উমর জিজ্ঞেস করলেন— কী ব্যাপার আলী, ইহুদি বরাবর দাঁড়াতে বলায় আপনি কি নাখোশ? হযরত আলী উত্তর দিলেন— না, তা নয়। আমি বরং নাখোশ, আপনি এক্ষেত্রেও আমার সম্মানজনক উপাধি ‘আবুল হাসান’ বলে ডাক দেওয়ায়। এই হলো ইসলামের সাম্য!
ইসলামের একজন ঘোর শত্রুও স্বীকার করবে যে, ইসলামের মতো সাম্য আর কোথাও নেই। বর্তমান পৃথিবীতে ইসলামগ্রহণের যে জোয়ার চলছে, তার পেছনে ইসলামের সাম্য ও মানবাধিকার অনেক বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। মানুষ ন্যায় বিচার পেতে, ন্যায্য অধিকার পেতে, সমাজের সবার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে।