সিরাজগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয় দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা একে অপরকে দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া বাজারে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় সেখানে শান্তি সমাবেশের জন্য আগে থেকে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রাটি আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের সামনে পৌঁছালে উভয় দলের নেতা–কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই দলের নেতা–কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে সারা দেশে অশান্তির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। বিএনপি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা চালায়নি। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বিএনপির নেতা–কর্মীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছেন। বিএনপি পদযাত্রার নামে ‘সন্ত্রাস যাত্রা’ শুরু করেছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তাঁর স্ত্রী রুমানা মাহমুদ এই সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই সন্ত্রাস করেছে তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবেন না।’

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফের রহমান মণ্ডল বলেন, হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।