
পূর্ব সিরিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৯ জনে পৌঁছেছে। মার্কিন বাহিনী দাবি করেছে এসব স্থাপনা ইরানপন্থী বিদ্রোহীদের। সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষক একটি সংস্থা শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান সমর্থিত বাহিনীর মধ্যে এটি সবচেয়ে মারাত্মক হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা।
এর আগে বৃহস্পতিবার একটি ড্রোন হামলায় এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত ও পাঁচ সেনা আহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে, ইরানি ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়।
এর জবাবে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। সেই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়। এরপর শুক্রবার একাধিক মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু হামলা চালানো হয়। পাল্টা হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন জন সিরীয় সেনা, ১১ জন সরকার সমর্থক যোদ্ধা এবং ৫ জন অ-সিরীয় যোদ্ধা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকানদের রক্ষা করতে কাজ করবে।
সিরিয়ার ১২ বছরের সংঘাতের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিয়ে এসেছে ইরান। খবরে বলা হয়েছে, লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহ এবং তেহরানপন্থী ইরাকি গ্রুপসহ ইরানের প্রক্সি মিলিশিয়ারা পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে এবং রাজধানীর আশেপাশের শহরতলিতে আধিপত্য বিস্তার করে।