সিরিয়া-তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ৪০০ 

পয়গাম ডেস্ক :

সিরিয়া ও তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেড় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্ত এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে বলেছে, তুরস্কে এখন পর্যন্ত ২৯০ জন এবং পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের স্থানীয় একটি হাসপাতাল আরও ৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ‘ভূমিকম্পে আলেপ্পো, হামা ও লাতাকিয়ায় ১২০ জন নিহত এবং ৬০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’ 

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি প্রথম আঘাতের ১৫ মিনিট পর দ্বিতীয়বার আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে পরাঘাতটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। এ ভূমিকম্পকে এ অঞ্চলে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলা হচ্ছে। 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সকল নাগরিককে সমবেদনা জানাই। আশা করি আমরা দ্রুত এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারব।’ 

তুরস্কের টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা কাহরামানমারাস শহর ও পার্শ্ববর্তী গাজিয়ানটেপ শহরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। 

বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও আশপাশের অন্যান্য শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। বিবিসির তুর্কি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দিয়ারবাকির শহরের একটি শপিং মল ধসে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। 

বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুলউফ সিরিয়ার গাজা উপত্যকা থেকে বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন, সেখানে অন্তত ৪৫ সেকেন্ড ধরে ভূকম্পন অনুভব করেছেন। 

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পটি সাইপ্রাস, সিরিয়া, লেবানন, গ্রিস, জর্ডান, ইরাক, রোমানিয়া, জর্জিয়া এবং মিসরেও অনুভূত হয়েছে।