সিলেটে সাত উপজেলায় পানিবন্দি ৫ লাখ ৩৩ হাজার

সিলেটে চলমান বন্যায় ৭ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ। পানিতে আটকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।

টানা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা।এই উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, উপজেলাগুলোতে এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৪৭টি। এরই মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।

বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট। এর মধ্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৯৩ হাজার, কানাইঘাটে ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুর উপজেলায় ৬৫ হাজার, জকিগঞ্জে ৩৯ হাজার ৮৫২ জন এবং গোয়াইনঘাটে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন কন্যাকবলিত হয়েছেন।

অন্যদিকে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৫ হাজার ৫০০ জন এবং গোলপগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
বন্যা আক্রান্ত উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়।

বন্যা কবলিতদের জন্য এ উপজেলায় ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৫৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া কানাইঘাট উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৬৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জকিগঞ্জের বন্যা কবলিত ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৯৫ জন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম চলছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ইউনিয়নভিত্তিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে।