![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2022/12/20221226_154406-1024x539.jpg)
কবি বা শিল্পীর আনাগোনা ইসলামের পূর্ব থেকেই চলে আসছে এবং সময়ে সময়ে তা রীতিমতো পরিবর্তনও হচ্ছে। ইসলাম পূর্বে কবি বা শিল্পীদের কাজ ছিল বড় বড় মানুষের তোষামোদ করে কিছু টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া এবং নারী সমাজকে অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করা।
আর ইসলাম আসার পর মুসলমানদের মাঝে এমনকি সাহাবিদের মাঝেও কবি বা শিল্পী ছিলেন। কিন্তু তারা তাদের এ শিল্পকে অশ্লীল বা অনর্থক কাজে ব্যবহার করতেন না বরং তারা বিভিন্ন জিহাদের ময়দানে মুজাহিদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য, আল্লাহর বিধান কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শানে হামদ ও নাত পরিবেশন করতেন।
নিঃসন্দেহে তা সৎ কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এই হামদ-নাতের মাধ্যমে মানুষ পূণ্য অর্জনের পাশাপাশি আত্মতৃপ্তিও লাভ করত।
কিন্তু বর্তমান কবি বা শিল্পীদের মনোভাব একটু ভিন্ন রকম। অনেকে তো রীতিমতো মত জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে। আর এজন্য তারা বিভিন্ন বাজনা এবং নানারকম ভিডিও শর্টের মাধ্যমে রিলিজ করছে তাদের ইসলামিক সংগীত নামের গান। অনেক সাবালিকা মেয়ে কণ্ঠশিল্পীদের দেখা যায়, তারা শুটিং -এর মাধ্যমে নিজেদের পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে অথচ যেখানে তাদের কন্ঠস্বর গায়রে মাহরামের জন্য শ্রবণ করা হারাম। সেখানে তারা স্বীয় চেহারা প্রদর্শন করে চলছে।
ইমাম হুমাম রাহ. বলেন, “মহিলারা নামাজের ভিতরে উচ্চস্বরে কেরাত পাঠ করবে না”।
এ কথার দ্বারা প্রতীয়মান হয়—যেখানে পবিত্র কালামুল্লাহ উচ্চস্বরে পাঠ করাকে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে একজন সাবালিকা নারী হয়ে হামদ ও নাত রেকর্ড করে ভিডিও আপলোড দেওয়া কোন আত্মমর্যাদাশীল মুসলিম নারীর জন্য ধ্বংসের কারণ ছাড়া আর কিছু না ।
শেষ পর্যন্ত নামকরা একটি শিল্পী গোষ্ঠীর থেকে প্রকাশিত একটি সংগীতের ভিডিওতে অভিনয় করেছে চলচ্চিত্র অভিনেতা মিশা সওদাগর। এখানে ব্যক্তি নিয়ে কোন কথা নয়, বরং সমাজে তার পরিচিতি নিয়ে কথা।
জানিনা, এই অবনতির ধাপ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে!
মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন
শিক্ষার্থী, জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ