সৌদি ও ইরানের রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়

রমজান মাস উপলক্ষে ফোনালাপ করেছেন সৌদি আরব এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এতে দুই কূটনীতিক শিগগিরই নিজেদের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। ওই বৈঠকের পরই দুই দেশে পরস্পরের দূতাবাস ও কনস্যুলেট চালুর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ নিজেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে ফোন করেন। এরপর তারা একে অপরকে রমজানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা দেন। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই মন্ত্রী শিগগিরই একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার পথ প্রশস্ত করতে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তারা। 

এর আগে গত ১০ই মার্চ চীনের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয় সৌদি আরব ও ইরান। দুই দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সকল বিতর্ক ও সংঘাত পাশে ফেলে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে তারা। এছাড়া এক দেশ অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য ও হস্তক্ষেপ থেকেও বিরত থাকবে। এরই অংশ হিসেবে ইরান ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের অস্ত্র দেয়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সৌদি আরবও বন্ধুত্ব এগিয়ে নিতে নানা ইঙ্গিত দেখিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় সাত বছর পর আবারও দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করলো। রিয়াদে ইরানি দূতাবাস এবং তেহরানে সৌদি দূতাবাস চালুর প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে শিগগিরই। 

রোববার ইরান জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। ইরানি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি সৌদি সফরে আগ্রহী। তবে এর আগেই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক আয়োজিত হতে যাচ্ছে। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যেকার রেষারেষি মধ্যপ্রাচ্যে গত এক দশক ধরে অস্থিরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। চীনের এই মধ্যস্ততার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আবারও শান্তি ফিরে আসার রাস্তা খুললো বলে আশা করা হচ্ছে।