১৪৪৫ হিজরির হজ মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে এরই মধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লি হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়ে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে এ বছর বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত পবিত্র কোরআনের ১০ লাখ কপি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। খবর আরব নিউজ।
পবিত্র দুই মসজিদ তথা হারামাইন শরিফাইনের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল সুদাইস বলেছেন, হজের আগে-পরে এই দুই মসজিদে ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে এসব কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীরা যেন এই দুই মসজিদসহ পুরো হজ প্রোগ্রামের আচার-অনুষ্ঠানগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহজে আদায় করতে পারেন সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হবে।
এরই অংশ হিসেবে আগত হজযাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৩৫টি ভাষায় অনুবাদকৃত ১০ লাখ কোরআনের কপি বিতরণ করা হবে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পবিত্র কোরআনের বাণী প্রচার এবং সহনশীলতা ও সংযমের মূল্যবোধকে শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আবদুর রহমান সুদাইস।
জেনারেল অথরিটি কর্তৃক সরবরাহকৃত অনুদিত কোরআনের এসব অনুলিপির মধ্যে ইংরেজি, উর্দু, ফরাসি, ইন্দোনেশিয়ান, তুর্কি, চীনা, সোমালি, মালয়ালম, বাংলা, ফিলিপিনো, স্প্যানিশ, আলবেনিয়ান, হাউসাসহ মোট ৩৫টি ভাষায় অনুদিত কোরআন থাকবে। সবাই যেন মাতৃভাষায় সহজে কোরআনের অর্থ উপলব্ধি করতে পারে তার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের এ প্রয়াস।
এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির কোরআনের কপিও বিতরণ করা হবে। এর পাশাপাশি কোরআনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বই, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মাসয়ালা সংক্রান্ত পুস্তিকা, বৈজ্ঞানিক বই, বিভিন্ন বিষয়ে ছোট ছোট পুস্তিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদিও এই দুই মসজিদে প্রদর্শন ও বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মদিনার বিখ্যাত কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সে প্রতি বছর লাখ লাখ কোরআন ছাপানো হয়। সেখানে ৭৬ ভাষায় অনুদিত কোরআনও ছাপা হয়ে থাকে।