হজে ৪৯ তিউনিসিয়ান নাগরিকের মৃত্যু, বরখাস্ত ধর্মমন্ত্রী

এবারের হজ মৌসুমে তীব্র তাপদাহে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অসহনীয় গরমের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজিরা। এ ঘটনায় তিউনিসিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইব্রাহিম চাইবিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সৌদি আরবে হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। এরপরই তিনি এ ঘটনার জন্য ধর্মমন্ত্রীকে দায়ী করে তাকে বরখাস্ত করেন।

সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মিশরে। এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মিশরীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ২০০, ভারতের ৯৮ জনসহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, জর্ডান, ইরান, সেনেগাল, তিউনিসিয়া, সুদান ও ইরাকের নাগরিকরা মারা গেছেন।

প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম এবার পবিত্র হজ পালন করেছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, হাজিদের সুরক্ষায় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু কিছু হজযাত্রীর অভিযোগ, সৌদি ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে এবার হাজিদের অতিরিক্ত হাঁটতে হয়েছে এবং তীব্র গরমের কবলে পড়তে হয়েছে।

অবশ্য সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই অত্যধিক গরমের ব্যাপারে সবাইকে বারবার সতর্ক করেছিল।

সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা হাজিদের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তবে সাবধান করার পরও বেশ কিছু অনিবন্ধিত হজযাত্রী হজ করার চেষ্টা করেছেন। তাদের অনেকেই সৌদি ব্যবস্থাপনার বাইরে ছিলেন। ফলে তারা তাঁবু বা বাসসহ অন্যান্য জায়গায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা পাননি। এসব কারণে তারা গরমে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে কিছু কিছু হজযাত্রী অভিযোগ করেন, এবারের সৌদি ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল না। তাদের কিছু নিয়মের ফলে এবারের হজযাত্রীদের গরমের মধ্যেও অনেকখানি হাঁটতে হয়েছে। এছাড়া অত্যাধিক তাপমাত্রা তো ছিলই। ফলে এত বেশি মানুষ মারা গেছে।

অনেক হজযাত্রী জানিয়েছেন, সৌদি আরব গত বছরগুলোর তুলনায় এবার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

সার্বিক পরিস্থিতিতে হজ ব্যবস্থাপনায় আরও সতর্কতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।