হামাসের জনপ্রিয়তা বাড়ায় হতাশ ইসরায়েল!

হামাসকে অভিযুক্ত করে হামলা চালিয়ে পুরো গাজাকে তছনছ করে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেড় মাসের বেশি সময় হামলা চালানোর পর ইসরায়েল ধারণা করেছিল হামাসের প্রতি গাজাবাসীর জনপ্রিয়তা কমবে। কিন্তু সাম্প্রতিক বিভিন্ন চিত্রে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন আবহ। ফলে বেশ হতাশ হয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। খবর আল জাজিরা।

ইসরায়েলের ভেতরে গিয়ে গত ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে চারদিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করেছিল, তাদের এই হামলার জন্য গাজার অধিবাসীসহ পুরো ফিলিস্তিনের লোকজনের কাছে হামাস ঘৃণা কুড়াবে। অন্তত জনপ্রিয়তা কমবে।

কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। ইসরায়েল থেকে বন্দী করে নিয়ে আসা জিম্মিদের বিনিময়ে তারা মুক্ত করে নিচ্ছে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের। এতে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিনে হামাসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। গালফ স্ট্যাডিজ সেন্টারের পরিচালক এবং কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির অধ্যাপক বিশ্লেষক মাহজুব জাভেইরি এমনটিই মনে করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির ঘটনায় হামাসের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য চরম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাভেইরি বলেন, বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে যে মুহূর্তে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি কারাগার থেকে বের হতে শুরু করেছে, সেই মুহূর্তেই হামাস আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে। কারণ তারাই ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে পেরেছে।

https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?gdpr=0&us_privacy=1—&client=ca-pub-3475134183317930&output=html&h=200&adk=2209864224&adf=1944435727&pi=t.aa~a.3120504144~i.9~rp.4&w=635&fwrn=4&fwrnh=100&lmt=1701086003&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=2273758854&ad_type=text_image&format=635×200&url=https%3A%2F%2Fwww.bangla.24livenewspaper.com%2Fpost-121418%23google_vignette&ea=0&fwr=0&pra=3&rh=159&rw=635&rpe=1&resp_fmts=3&wgl=1&fa=27&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTUuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTE5LjAuNjA0NS4xNjAiLG51bGwsMCxudWxsLCI2NCIsW1siR29vZ2xlIENocm9tZSIsIjExOS4wLjYwNDUuMTYwIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjExOS4wLjYwNDUuMTYwIl0sWyJOb3Q_QV9CcmFuZCIsIjI0LjAuMC4wIl1dLDBd&dt=1701086179406&bpp=10&bdt=101638&idt=10&shv=r20231109&mjsv=m202311090101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3Dff46d85f9c7f4b57-22618ee3e9db0061%3AT%3D1678261263%3ART%3D1701086063%3AS%3DALNI_Map0SiHtk0bbHGFSEpbSnTHm4kU-g&gpic=UID%3D00000bd4879818a9%3AT%3D1678261263%3ART%3D1701086063%3AS%3DALNI_MZQDkYesUGvJ_ICCJ1dxQiylRRQ9Q&prev_fmts=0x0%2C1263x595&nras=3&correlator=2150192778891&frm=20&pv=1&ga_vid=600003041.1678261263&ga_sid=1701086078&ga_hid=27561804&ga_fc=1&u_tz=360&u_his=4&u_h=720&u_w=1280&u_ah=672&u_aw=1280&u_cd=24&u_sd=1.5&dmc=8&adx=147&ady=2601&biw=1263&bih=595&scr_x=0&scr_y=226&eid=44759876%2C44759927%2C44759837%2C42532604%2C31079629%2C31078301%2C44807754%2C44807764%2C44808148%2C44808285%2C44809054%2C31078663%2C31078665%2C31078668%2C31078670&oid=2&pvsid=2671859131742162&tmod=782654369&uas=1&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fwww.bangla.24livenewspaper.com%2Fworld&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1280%2C0%2C1280%2C672%2C1280%2C595&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&td=1&psd=W251bGwsbnVsbCwicHJlcGVyaW9kIiwxXQ..&nt=1&ifi=10&uci=a!a&btvi=1&fsb=1&dtd=21566

জাভেইরি বলেন, ফিলিস্তিনিদের এই মুক্তির কারণেই হামাস দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এর আগেও গাজায় বন্দী ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতের বিনিময়ে এক হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত করে এনেছিল হামাস। সেই সব বন্দীর পরিবারেরা মনে করে, হামাসের জন্যই তাদের স্বজনেরা মুক্তি পেয়েছে। একই অবস্থা দেখা গেছে গত শুক্রবার থেকে। যখন ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন, তখন গাজার লোকজনের সঙ্গে সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও হামাসের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

রাজনীতি বিশ্লেষক জাভেইরি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য বিষয়টি বিব্রতকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হামাসের বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের অর্থাৎ পশ্চিম তীরের লোকজনও মুক্তি পাচ্ছে, অথচ এই কার্যক্রমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কোনও সুবিধা পাবে না। অথচ এটিকে তারা বাধাও দিতে পারছে না। কারণ এছাড়া ইসরায়েলি কারাগার থেকে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করার ভিন্ন কোনো বিকল্পও নেই। অথচ এই কাজে হামাসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি গণহত্যার নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেকেই হামাসকে দায়ী করে থাকে। কিন্তু এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজাবাসীর মুখ থেকে এখন পর্যন্ত হামাসকে দায়ী করে কোনো কথা শোনা যায়নি। বরং বন্দী মুক্তির ব্যবস্থা করায় তারা পুরো ফিলিস্তিনজুড়ে এমনকি ফিলিস্তিনের বাইরে প্রশংসা পাচ্ছে। হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করা ইসরায়েলি প্রশাসনের পক্ষে বিষয়টি মেনে নেওয়া কঠিনই বটে।