হামাস নেতাদের আলজেরিয়ায় নির্বাসনের প্রস্তাব!

সৌদি আরবের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃত্বকে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে হস্তান্তর করে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা সংবলিত একটি রূপরেখা দিয়েছে। খবর মিডলইস্টমনিটর।

ফরাসি সংবাদপত্র লে মন্ডে গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গাজা যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা সংবলিত একটি সৌদি নথির বিশদ বিবরণ প্রকাশ করে, যাতে হামাসের সামরিক ও নিরাপত্তা নেতাদের আলজেরিয়ার রাজধানীতে স্থানান্তরে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রিয়াদে গত ১৯ নভেম্বর উপসাগরীয় গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আব্দুল আজিজ বিন সাকার ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের প্রধান অ্যান গ্রেক্সের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পরেই নথিটি প্রস্তুত করা হয়। পরে নথিটি ফরাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

লে মন্ডে উল্লেখ করে, নথিতে যেসব হামাস নেতাকে আলজেরিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সম্ভবত তাতে হামাসের সশস্ত্র সংগঠন আল-কাসসাম ব্রিগেডের নেতা মুহাম্মদ দেইফ এবং হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।

হামাস আন্দোলনের প্রধান সমর্থক কাতার এবং ইরানের সঙ্গে উত্তর আফ্রিকার দেশটির সুসম্পর্কের কারণে আলজেরিয়াকে হামাস নেতাদের নির্বাসনের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ধারণা করা হয়, সেখানে তাদের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ বিষয়ে কথা বলতে লে মন্ডে প্যারিসে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, কিন্তু তিনি এই বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সৌদি আরবের প্রস্তুত করা নথিটিতে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজায় একটি আরব শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন এবং হামাস, ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) এবং ফাতাহসহ প্রধান দলগুলোর একটি সম্মিলিত যৌথ অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ” প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানানো হয়েছে। যে কাউন্সিল চার বছরের জন্য গাজা উপত্যকা পরিচালনা এবং রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে।

সংবাদপত্রটি এ নথিটির ব্যাপারে জানিয়েছে, উল্লেখিত পরিকল্পনাটি সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ছিল কি না বা এটি উপসাগরীয় গবেষণা কেন্দ্রের প্রধানের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ কি না, তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, গত মাসে আলজেরিয়ার পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি আবদেলমাদজিদ তেবোউনকে অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দেয়।