হিন্দু মহাসভার কর্মীরাই গরু জবাই করেছে

ভারতে কট্টরপন্থী সংগঠন হিন্দু মহাসভার নেতাকর্মীরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে গরু জবাই করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে রামনবমী উৎসব চলাকালে আগ্রা শহরে তারা এ কাণ্ড ঘটায়। বলা হচ্ছে, হিন্দু মহাসভার জাতীয় কমিটির মুখপাত্র সঞ্জয় জাট এ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এসব কথা জানিয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বলেছে, রামনবমী শোভাযাত্রার সময় আগ্রা শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দিতে হিন্দু মহাসভার কিছু সদস্য নিজেরাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গরু জবাই করে। রামনবমী উৎসবের সময় গরু জবাইয়ের অভিযোগে এতেমাদুদ্দৌলা থানার গৌতম নগর এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে আগ্রা পুলিশ।

কর্মকর্তারা জানান, গরু জবাইয়ের ষড়যন্ত্র তদন্ত করতে গিয়ে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কয়েকজন পদাধিকারীর নাম বেরিয়ে এসেছে। মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন হিন্দু মহাসভার জাতীয় কমিটির মুখপাত্র সঞ্জয় জাট। সংগঠনের অনেক কর্মীও ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।

পুলিশের উপ-কমিশনার সুরজ রাই বলেন, গরু জবাইয়ের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু বিষয় বেরিয়ে এসেছে। জিতেন্দ্র খুশওয়াহা নামে একজন এ ঘটনায় এতেমাদুদ্দৌলা থানায় এফআইআর রুজু করেন। এফআইআরে যাদের নামোল্লেখ করা হয়, তাদের মধ্যে ইমরান ওরফে ঠাকুর ও শানু নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হিন্দু মহাসভার কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, জিতেন্দ্র খুশওয়াহা ও সঞ্জয় জাট নিজেরাই গরু জবাই করে রামনবমীর সময় আগ্রায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছে।

তবে সঞ্জয় জাট ইন্ডিয়া টুডে’র কাছে দাবি করেছেন, হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে এ ঘটনায় ফাঁসিয়েছে। পুরো ঘটনায় সিবিসিআইডির তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে নালিশ করবেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে বলেছেন, জিতেন্দ্র খুশওয়াহাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে যে তিনি এফআইআরে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। যেখানে গরু জবাই হয়েছে, জিতেন্দ্র, সঞ্জয় ও অন্য কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে কল রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা সেখানে ছিল না। কল রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, এফআইআরে অভিযুক্তরা গত একমাসেও ওই জায়গায় যায়নি।