৪০ বছর পর ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি বন্দী

সরায়েলের এক সেনাকে হত্যার অভিযোগে তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তার বয়স ২৬ বছর। সেটা ১৯৮৩ সাল। দীর্ঘ ৪০ বছর কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের এই নাগরিকের নাম করিম ইউনিস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, করিম ইউনিস ইসরায়েলের কারাগারে সবচেয়ে বেশি সময় বন্দী থাকা ফিলিস্তিনি। বর্তমানে ৬৬ বছর বয়সী করিমকে ইসরায়েলের তেল আবিবের হাদারিম কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে মুক্তি দেওয়া হয়।

সিরিয়ার গোলান উপত্যকায় এক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে করিমের বিরুদ্ধে। হত্যার তিন বছর পর ১৯৮৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। দেশটির আদালত পরে করিমকে হত্যার অভিযোগে সাজার শোনান।

করিম ইউনিস ইসরায়েলের অভ্যন্তরস্থ আরা গ্রামের বাসিন্দা। মুক্তির পর সেই গ্রামে পৌঁছালে করিমকে রীতিমতো সংবর্ধনা দেন তার আত্মীয়-বন্ধুরা। মুক্তির পরপরই করিম আল-জাজিরার সাথে কথা বলেন।

সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, মুক্তির প্রক্রিয়াটি রীতিমতো সামরিক অভিযানের সাথে তুলনীয়। এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেন, পুলিশের কয়েকটি গাড়ি বদলে কারাগার থেকে তাকে শেষে তেল আবিবের উত্তরের শহর রানানার এক বাস স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে এক পথচারীর সহযোগিতা নিয়ে তিনি নিজ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।

করিম ইউনিস তৎকালীন ফিলিস্তিনের উদীয়মান নেতা ছিলেন বলে জানান আরা গ্রামে থাকা আল-জাজিরার সাংবাদিক ইমরান খান। ফলে তার প্রত্যাবর্তন গ্রামটির বাসিন্দারা উদ্‌যাপন করছে।

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই পশ্চিমতিরের বাসিন্দা। তবে করিম হচ্ছেন ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি। তার মতো বন্দী ইসরায়েলের কারাগারে খুব বেশি ছিল না, এখনো নেই।

করিমের মুক্তির বিষয়ে অবশ্য ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আল-জাজিরা জানায়, ইসরায়েলের কারাগারে বর্তমানে ৪৭ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি বন্দী আছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৫০। আর বিনা বিচারে বা কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দীর সংখ্যা ৮৩৫।

এফ.কে