গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি বিকলাঙ্গ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ৯ ডিসেম্বর, শনিবার ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে শতকরা ৫৮ ভাগের হাত এবং পায়ের গুরুতর জখম হয়েছে। এদের অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পুনর্বাসন বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৬০ জন নতুন আহত সৈন্য নিবন্ধিত হয়। ইসরায়েলি সরকার গাজায় যুদ্ধ করা সেনাবাহিনীর হতাহতের পরিমাণ সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, মাত্র ২০০ সৈন্য আহত হয়েছে।
দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি আহত সৈন্য ইসরায়েলের হাসপাতালে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ২ হাজারের বেশি সৈন্য বিকলাঙ্গ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান এবং ডেপুটি ডিরেক্টর লিমোর লুরিয়া বলেছেন, ‘আমরা এর আগে কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি। আমাদের কাছে যেসব আহত সৈন্য এসেছে তাদের ৫৮ ভাগেরও বেশি সৈন্যের হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত রয়েছে। অনেকের অঙ্গচ্ছেদও করতে হয়েছে।’
তিনি যোগ করেছেন, শতকরা ১২ ভাগ সৈন্যের প্লীহা, কিডনির মত শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শতকরা ৭ ভাগ সৈন্য মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৪২০ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর, বুধবার, ইসরায়েলি মিডিয়া কান নিউজ জানিয়েছে, এই যুদ্ধে শতাধিক ইসরায়েলি সৈন্য চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক বা উভয় চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এরপর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। অবরুদ্ধ এই ছিটমহলটিতে তাদের বিমান ও স্থল হামলার ফলে কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া ৪০ হাজার ৪৮০ জন আহত হয়েছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর