৬০০ মাদরাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব:আসামের মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের আসাম প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, আমি এ পর্যন্ত ৬০০টি মাদরাসা বন্ধ করেছি। বাকিগুলোও বন্ধ করে দেবো। কারণ আমরা মাদরাসা চাই না। আমরা চাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা আসামে আসে এবং আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

গতকাল শুক্রবার কর্নাটকে আয়োজিত এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে হিমন্ত বলেন, নয়া ভারতের জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, মাদরাসা নয়। আমার পরিকল্পনা হলো সমস্ত মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া। মাদরাসার জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, যেখান থেকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হবে।

আসামের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের জানুয়ারিতে একটি আইন পাস করেছে, যা রাজ্যের সরকার পরিচালিত সব মাদরাসাকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তর করার পথ প্রশস্ত করেছে। এই আইনের আওতায় এই দুই বছরের মধ্যে ছয় শতাধিক মাদরাসা ও আরবি কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বা পাল্টে ফেলা হয়েছে।

বক্তৃতায় হিমন্ত শর্মা কংগ্রেস ও বামপন্থীদের মুঘলপন্থী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দেশের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ এনে বলেন, কংগ্রেস ও বামেরা বাবর, আওরঙ্গজেব ও শাহজাহানকে দিয়ে ভারতের ইতিহাস সাজিয়েছে। আমি বলতে চাই, ইতিহাসকে নতুন করে লেখার সময় এসেছে। এই নতুন ইতিহাস হানাদারদের হবে না, হবে আমাদের বিজয়ী বীরদের।

কংগ্রেসকে নয়া মুঘল উপাধি দিয়ে হিমন্ত শর্মা আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন ভারতের ক্ষমতায় থাকা লোকেরা মন্দির ভাঙার কথা বলত। কিন্তু মোদির শাসনামলে আমরা এখন মন্দির নির্মাণের কথা বলি। এটাই নয়া ইন্ডিয়া।

তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএএমএসইউ) মুখপাত্র আইনুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মনে হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি কখনোই সব মাদরাসা বন্ধ করে দিতে বা ভারতের ইতিহাস থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলতে পারবেন না।