৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠলো তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুরস্কে নতুন করে দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২১৩ জন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের তল্লাশি করছেন।

২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি তুরস্কের সঙ্গে অনুভূত হয়েছে মিশর, লেবানন ও সিরিয়ায়। খবর রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।

তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টা ৪ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে এ ভূমিকম্প হয়। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। এর ঠিক ৩ মিনিট পরেই ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে। 

ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (EMSC) বলেছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাতায়ের আনটাকিয়া শহরে ভূপৃষ্ট থেকে ভূমিকম্পটি মাত্র ২ কিলোমিটার (১.২ মাইল) গভীরে আঘাত হানে।ভূমিকম্পের পর সম্ভাব্য সুনামির আশঙ্কায় হাতায়ে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলরেখা থেকে আধা কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে থাকার জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে এএফএডি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু বলেছেন, আন্তাকা, ডেফনে ও সামান্দাগে এলাকায় তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জনগণকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক ভবনগুলোতে প্রবেশ না করতে বলা হয়েছে। 

আন্তাকা শহরের রাস্তায় ভবন ধসে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছে না। 

স্থানীয় বাসিন্দা মুনা আল-ওমর তাঁর সাত বছরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল, পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।’ নতুন ভূমিকম্পের সময়ে তিনি শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি পার্কে তাঁবুতে ছিলেন। 

১৮ বছর বয়সী আলী মাজলুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আগের ভূমিকম্পে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। সবাইকে এখনো খুঁজে পাননি। তিনি ধ্বংসস্তূপের ভেতর স্বজনদের খুঁজছিলেন। এর মধ্যে নতুন করে ভূমিকম্প হলো। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী করব। একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। আমাদের চোখের সামনেই দেয়াল ধসে পড়তে লাগল।’