৭ অক্টোবরের হামলা ছিল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: হামাস

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর তারা দক্ষিণ ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ইসরায়েলে হামলার ব্যাপারে এটাই ছিল হামাসের প্রকাশিত প্রথম কোনো প্রতিবেদন। খবর এএফপি।

রোববার (২১ জানুয়ারি) প্রকাশিত আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ১৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে হামাস জানায়, ৭ অক্টোবরের ওই আক্রমণটি ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এর মধ্য দিয়ে আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছি। প্রতিবেদনে ইসরায়েলি নিরাপত্তা, সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতন এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে হামলায় কিছু ত্রুটির কথাও স্বীকার করা হয়।

প্রতিবেদনে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, গাজাবাসীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূলের মতো অপরাধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। একই সঙ্গে গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক ও ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের প্রচেষ্টাও প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিরোধ আন্দোলনটি।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণ নিজেদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো সাজানোর ক্ষমতা রাখে। বিশ্বের কোনো পক্ষের তাদের পক্ষ হয়ে, তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।

ইসরায়েলের সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,১৪০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এছাড়া তারা হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতায় বন্দী বিনিময়ের পরও গাজায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জন জিম্মি রয়ে গেছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সাড়ে তিন মাস ধরে ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণে গাজায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ হাজার ১০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।