৭ জানুয়ারি পাতানোর নির্বাচন দেশবাসী দেখতে চায় না

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে। এখন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী নাটক দেশবাসী দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগ একটি আজাবের ও গজবের নাম। আওয়ামী লীগ দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশকে দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। আগামী শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকায় ফের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।


আজ সোমবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রবর্তণ ও দেশ-জাতিসত্ত্বা বিরোধী অনৈসলামিক ও অবৈজ্ঞানিক শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কেএম শরিয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদর রহমান ও মুফতী মাছউদুর রহমান।
সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে মিছিলকে বানচাল করতে পল্টন মোড়ে দুর্বৃত্তরা মুহুর্মূহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি পাতানো নির্বাচন হলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পোশাকখাতের রেমিট্যান্স বন্ধ হবে। শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো শ্রমিক তাদের কর্ম হারিয়ে ফেলবে। পেটের দায়ে এসব শ্রমিকরা চুরি, ডাকাতি ছিনতাইয়ের পথে পা বাড়াবে। দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। আমার সোনার বাংলাদেশ দিল্লির গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করে ফেলবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার ও শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।

সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, তেলবাজ মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি পাতানোর নির্বাচন করলে দেশবাসী শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করতে বাধ্য হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূণ্য করার চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, এই সিলেবাসে দিয়ে মনুষ্যত্ববোধ সম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তিনি জাতিসত্ত্বা বিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করার জোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্রাংকি হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গিয়ে সমাপ্ত হয়।