আল আকসায় ফের ইসরায়েলি তাণ্ডব

ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েলি চরমপন্থীরা আবারও পবিত্র এই স্থানে হামলা চালিয়েছে। ২৬ মার্চ, রোববার সকালে ইসরায়েলি পুলিশের সহায়তায় পবিত্র রমজান মাসে দ্বিতীয়বারের মত আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এই চরমপন্থী ইহুদীরা। খবর দ্য নিউ আরব।

লন্ডনভিত্তিক আরবি ভাষার নিউজ ওয়েবসাইট আল আরাবি আল জাদিদ জানিয়েছে, রোববার সকালে ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বেশ কয়েকজন মুসলমানকে সরিয়ে দেয়। এরপর ইহুদী চরমপন্থীরা সেখানে প্রবেশ করে নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রার্থনা শুরু করে।

২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার রমজান মাসের প্রথমদিনেও প্রায় ৩০০ চরমপন্থী ইহুদী আল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে প্রার্থনা করার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছিল জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। আল আকসা মসজিদে কেবল মুসলমানদেরই প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খ্রিষ্টান এবং ইহুদী ধর্মাবলম্বীরা কেবলমাত্র এই স্থান পরিদর্শন করতে পারবে।

এদিকে ২৪ মার্চ, শুক্রবার ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির বলেছেন, ইহুদীদের জেরুজালেমের সর্বত্র যাওয়ার অধিকার আছে। তার কথা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে রোববার ইহুদী চরমপন্থীরা পুলিশের সহায়তায় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, উগ্র ডানপন্থী এই মন্ত্রী গত জানুয়ারিতে আল আকসায় প্রবেশ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।

রমজান মাসের শুরুতে ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রোববার ইসরায়েলি পুলিশ কয়েক ডজন মুসল্লিকে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। শনিবার রাতে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত আল কিবলি মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। তারা মুসল্লিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়। এরপর ৩ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করে।

জেরুজালেমের ইসলামিক সুপ্রিম কমিটির প্রধান শেখ একরামা সাবরি মসজিদে এভাবে অভিযানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। আইনজীবী খালেদ জাবারকা বলেছেন, মুসলমানদের আল আকসায় ‘ইতিকাফ’ করার আইনগত অধিকার রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময়কালে, বিশেষ করে রমজানের সময় ইবাদতের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য কয়েকদিনের জন্য মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পুরনো অংশে অবস্থিত আল আকসা মসজিদ ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান। মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদীনার মসজিদে নববীর পরেই আল আকসা মসজিদের স্থান। অপরদিকে খ্রিষ্টান এবং ইহুদীদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *