আসাদের পতনের পর মিশরে ‘হাই অ্যালার্ট’, বিজয় উদযাপন করলেই গ্রেপ্তার!

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর মিশরে ‘অঘোষিত উচ্চ সতর্কতা’ জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আসাদ পতনের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো উদযাপন বা প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি এ ধরনের যেকোনো কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

মিশরের প্রেসিডেন্সি সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য যেকোনো অস্থিরতা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার ইউরোপ সফর স্থগিত রাখতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে সিরিয়ার এই পরিবর্তন নিয়ে মিশর এখনও প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। ফলে আসাদ পতনের ব্যাপারে মিশরের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনও অস্পষ্ট।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সব পক্ষকে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিশরীয় নাগরিকদের সংঘাতপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে এবং দামেস্কে দূতাবাসে নিবন্ধন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) আসাদ পতনের উদযাপনে অংশ নেওয়ায় ১৭ জন সিরীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনাধীন। এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার গণমাধ্যমগুলোকে স্থিতিশীলতার গুরুত্ব প্রচার ও অস্থিতিশীলতা সম্পর্কে সতর্ক করতে নির্দেশ দিয়েছে।

সিরিয়া আল-গাদ রিলিফ ফাউন্ডেশন’ মিশরে অবস্থানরত সিরীয়দের অনুমতিহীন সমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে সতর্ক করেছে, উদযাপনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তার হতে পারে। ২০১৬ সাল থেকে মিশরে অনুমতি ছাড়া যেকোনো জনসমাবেশ বেআইনি।

প্রায় ২০ লাখ সিরীয় মিশরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। আসাদ সরকারের পতন হলেও সবাই তৎক্ষণাৎ দেশে ফিরতে পারবে না। তবে ৩৬ বছর বয়সী শেফ মোহাম্মদ আল-শামি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ফিরব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *