জিম্মি থেকে মুক্তির পর দেশে ফিরে ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

হামাসের হাতে ৫৪ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম এবার ধর্ষণের মামলায় মুখ খুলেছেন। তিনি নিজেই তেল আবিবের একজন জনপ্রিয় পার্সোনাল ট্রেইনারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এনেছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়া বলেন, ‘হামাসের টানেলের মধ্যেও আমার আহত হাত নিয়ে আমি আশায় ছিলাম। আর এখন হঠাৎ করেই আমি অন্ধকারে।’

গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তাকে জিম্মি করা হয় নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে। পরে নভেম্বরের একটি যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে এরপর। মার্চ মাসে ইসরায়েলি পুলিশ ওই ট্রেইনারকে গ্রেপ্তার করে, তার বাসা তল্লাশি করে মোবাইল ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়। পরে অবশ্য তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তিনি এখনো মামলার প্রধান সন্দেহভাজন।

চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ট্রেইনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় এবং তার ক্লায়েন্টদের মধ্যে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।

মিয়ার অভিযোগ, এক রাতে ওই ট্রেইনার ও আরেকজন বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর পর তিনি কিছুই মনে করতে পারছিলেন না। তার বন্ধুরা তাকে বাসায় অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে, যদিও তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না।

তদন্তে উঠে আসে, ট্রেইনার হয়তো কোনো ধরনের ডেট রেপ ড্রাগ ব্যবহার করেছিলেন। শুরুতে তদন্তে ট্রেইনার বলেছিলেন, তিনি কখনো মিয়ার বেডরুমে যাননি। পরে আবার বলেন, তিনি গিয়েছিলেন ঠিকানা চেক করতে। অথচ মিয়া বলেন, তিনি আগেই ঠিকানাটি ট্রেইনারকে মেসেজ করেছিলেন।

পলিগ্রাফ পরীক্ষায় দেখা যায়, যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত প্রশ্নে ট্রেইনার একাধিকবার মিথ্যা বলছেন। মিয়া পুলিশকে জানান, ঘটনার পর তিন দিন ধরে তিনি অসাড় হয়ে ছিলেন। তার শরীরে যৌন নিপীড়নের পাঁচটি আলামত পাওয়া গেছে—তিনটি বাহ্যিক ও দুটি চিকিৎসা পরীক্ষায় ধরা পড়ে।

জিজ্ঞাসাবাদে ট্রেইনার বলেন, মিয়া তার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ভালো মানুষ। আমি কিছু করিনি। আমার স্ত্রী আর মেয়ে আছে। আমি শুধু চাই এই দুঃস্বপ্ন শেষ হোক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *