পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে পাঞ্জাব প্রদেশে নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদারে জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্ট। হোম সেক্রেটারি নূরুল আমিন মেঙ্গলের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে প্রাদেশিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। এতে কেন্দ্র সরকারের সদ্য জারি করা ‘ওয়ার বুক’ নির্দেশনার আলোকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

বৈঠকে জানানো হয়, পাঞ্জাবজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং চিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি, পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্টে একটি কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স বিভাগও তাদের সব রিসোর্স মাঠে নামিয়েছে।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ ৭ মে পাঞ্জাবের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংকটকালীন পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক করতে সাইরেন এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য জরুরি সেবাগুলো সচল রাখার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও আরও কয়েকটি এলাকায় ভারতের ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮ জন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ।

হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনীর ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে এবং পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলেও দাবি করে পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *