
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার সকল সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়া হবে এবং নতুন সিরীয় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও হাতে অস্ত্র থাকবে না। দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সিরিয়ার মিলিটারি অপারেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি।
আল-জোলানি জানান, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সকল সদস্যকে সিরিয়ার সশস্ত্রবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না এবং বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগ কার্যকর করা হবে না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো থেকে বাধ্যতামূলক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
নতুন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ এবং বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানির সুবিধার্থে আমদানিকারকেরা দেশের বাইরে অর্থ পাঠাতে পারবেন। তবে, অর্থপাচার সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে আল-জোলানি বলেছিলেন, দীর্ঘ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া আর নতুন কোনো সংঘাত চায় না। দেশ পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা এখন প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে এমনভাবে চলবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।