
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সিরিয়ার জনগণকে তাদের ‘স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা’ অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে হামাস। গাজা উপত্যকা শাসনকারী ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই অভিনন্দন জানিয়েছে।
আসাদের পতনের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মন্তব্য করল হামাস। রোববার (৮ ডিসেম্বর) একটি বিমানে করে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় চলে যান সাবেক এই স্বৈরশাসক। এর ফলে দেশটিতে আসাদ পরিবারের ৬ দশকের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে আছি। সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছা, স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক পছন্দকে আমরা সম্মান করি।’
স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি আশা করছে, আসাদ পরবর্তী সিরিয়া, ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করার জন্য তার ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।
এদিকে একটি পৃথক বিবৃতিতে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী এবং হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল নাখালাও একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
নাখালা বলেন, ইসলামিক জিহাদ আশা করে, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত কারণের জন্য একটি সত্যিকারের সমর্থন হয়ে থাকবে সিরিয়া। যেমনটি আগে সবসময় ছিল।
এদিকে ২০১১ সালের মার্চে আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে সুন্নি মুসলিমদের বিক্ষোভকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল হামাস। এই বিক্ষোভ থেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। তাদের এই পদক্ষেপ ইরানকে ক্ষুব্ধ করেছিল। ইরান আসাদ এবং হামাস উভয়ের মিত্র।
উল্লেখ্য, হামাস মতাদর্শগতভাবে সুন্নি ইসলামপন্থী একটি সংগঠন। আর বাশার আল আসাদ হলেন সিরিয়ার সংখ্যালঘু আলাউইত শিয়া সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। তার শাসনামলে তিনি সুন্নি মুসলিম বিক্ষোভকারী এবং বিদ্রোহীদের নির্মমভাবে দমন করেছিলেন।
সূত্র: দ্য নিউ আরব