হঠাৎ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কিয়েভ সফরের রেষ শেষ না হতেই জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা জাপান সাগরে জাহাজ বিধ্বংসী দুটি মস্কিট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপান সাগরে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরীক্ষামূলক চালনা করে।

ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যটি ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটর দূরত্বের কোনো বস্তু। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বলে দাবি রাশিয়ার।

ন্যাটোর খাতায় মস্কিট ক্ষেপণাস্ত্রের নাম এসএস-এন-২২ সানবার্ন। এগুলো মাঝারি পাল্লার সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১২০ কিলোমিটার সীমার মধ্যে যেকোনো জাহাজ ধ্বংস করে দিতে পারে। জাপান সাগরের পিটার দ্য গ্রেট উপসাগরে এই অস্ত্র মহড়াটি সম্পন্ন হয়।

উপসাগরটি রাশিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরের সীমানা ফোকিনোতে অবস্থিত এবং জাপানের উত্তর হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। মার্কিন নৌবাহিনীর ৭তম নৌবহরও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দুটি রাশিয়ান কৌশলগত বোমারু বিমান টিইউ-৯৫ সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জাপান সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি চালানো হলো। তবে মস্কোর দাবি, ওই বিমানগুলো ছিল পরিকল্পিত ফ্লাইটের অংশ।

গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জে বহুজাতিক সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ করেছিল জাপান। মহড়ায় কিছু রাশিয়ান ও চীনা যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়। এতে জাপান উদ্বেগ প্রকাশ করে। রাশিয়া গত বছরও জাপান সাগরে সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *